কবি সুদীপ্ত বিশ্বাস এর ছয়টি কবিতা
আজকাল বিপদেরা চুপচাপ ওত পেতে থাকে,নদীর প্রতিটি বাঁকে-বাঁকে।সাবধান! সাবধান মাঝিশ্বাপদের চেয়ে হিংস্র মানুষের কারসাজি।আলো নেই,চারিদিকে জমেছে আঁধার চাপচাপমানুষকে ভালবাসা ভুল নয়, পাপ। কিছু অভিমান কিছু অভিমান বাষ্পের মতো মনের আকাশে জমেশ্রাবণের রাতে অশ্রুধারাতে কিছু অভিমান কমে।জীবন মানে তো যাওয়া আর আসা,বাষ্প-বৃষ্টি-মেঘকিছু হাসি আর কিছু অভিমান আর কিছু উদ্বেগ।পরোয়া করিনা জীবন মঞ্চে যখন দুঃখ আসেঅমলিন থাকি,রাতের […]
কবি সুদীপ্ত বিশ্বাস’র মৃত্যু বিষয়ক ছ’টি কবিতা
লাশ কাটা ঘর একদিন আমার বদলে বিছানায়শুয়ে থাকবে আমার লাশ।একদিন আমিও নিশ্চিন্তেশুয়ে থাকব ওই লাশ কাটা ঘরে,অন্যান্য লাশের পচা গলা গন্ধবেমালুম ভুলে গিয়ে।যত বার হেঁটে গেছি মর্গের রাস্তায়নাকে চেপে ধরেছি রুমালপেরিয়ে গিয়েছি খুব দ্রুত।যতই এড়িয়ে চলি, যতই ছুটি না কেনএকদিন ঠিক পৌঁছে যাবওই লাশ কাটা ঘরে। পোড়া যতদিন প্রাণ ছিল পুড়িয়েছি মনতিলেতিলে মন পোড়া, ওটাই […]
কবি সুদীপ্ত বিশ্বাসের ছ’টি কবিতা
বাউল একলা বেশ তো আছি,একলা থাকাই ভালোদুপুরে ডিস্কো নাচি, রাতে পাই চাঁদের আলো।কোনো এক নিঝুম দুপুর, কিংবা গভীর রাতেমনে আর পড়েই না তো,টান দিই গঞ্জিকাতে।পরোয়া করব কেন? সমাজটা দিচ্ছে বা কী?ছোট্ট জীবন আমার, তাইতো নাচতে থাকি।পলকা এই জীবনে, কী হবে দুঃখ এনে?চল্ না উড়াই ঘুড়ি, সুতোতে মাঞ্জা টেনে।লাফিয়ে পাহাড় চড়ে, সাঁতরে নদীর বুকেকবিতা দু’এক কলি […]
কবি সুদীপ্ত বিশ্বাস এর ছ’টি কবিতা
বাউল একলা বেশ তো আছি, একলা থাকাই ভালোদুপুরে ডিস্কো নাচি, রাতে পাই চাঁদের আলো।কোনো এক নিঝুম দুপুর, কিংবা গভীর রাতেমনে আর পড়েই না তো,টান দিই গঞ্জিকাতে।পরোয়া করব কেন? সমাজটা দিচ্ছে বা কী?ছোট্ট জীবন আমার, তাইতো নাচতে থাকি।পলকা এই জীবনে, কী হবে দুঃখ এনে?চল্ না উড়াই ঘুড়ি, সুতোতে মাঞ্জা টেনে।লাফিয়ে পাহাড় চড়ে, সাঁতরে নদীর বুকেকবিতা দু’এক […]
কবি সুদীপ্ত বিশ্বাসের ছ’টি প্রেমের কবিতা
প্রেম ১ প্রেম মানে তো অন্ধ, জেনেও থমকে থাকি প্রেমে!এসব কথা ক’জন বলো বোঝে?অনেক পুড়ে অনেক জ্বলে অনেক ক্ষয়ে ক্ষয়েপ্রেমিক তবু বিষাদ নদী খোঁজে!আকাশ থেকে নামলে ঘোড়া কিংবা তারাখসাহাতছানি দেয় মৃত্যুপুরীর নদীশীতল বিষে মৃত্যু নামে, প্রেমিক তবু ভাবে,‘আমার পাশে থাকতে তুমি যদি!’দুঃখ, হ্যাঁগো দুঃখ পেয়েও তুঁষের আঁচে পুড়েসমস্তরাত অভিমানে ভিজে,বিষাদরঙা নদীর পাড়ে একলা বসে থাকেযায় […]
কবি সুদীপ্ত বিশ্বাস’র ছ’টি কবিতা
আহ্বান গুমরে মরেছি শুধু মনের গভীরেঅস্ফুট আর্তিতে আর অপেক্ষায় অপেক্ষায়বয়ে গেছে রক্তধারা এই যমুনায়।রুধিরের স্রোত-জল বৃথা, সব বৃথাঅনেক মায়াবী রাত ঝলমলে দিন,নিতান্ত নিষ্ফল তারা, অপুষ্পক স্মৃতি।এখনও গোলাপবাগে আধফোটা কুঁড়ি,ভ্রমরের স্পর্শ পেতে প্রচণ্ড উন্মুখপ্রতীক্ষা,প্রতীক্ষা নিয়ে রাত ভোর জেগেসরিয়ে রেখেছি পাশে বরমাল্য খানি।তারার জন্মের পর তারার মৃত্যুতে,চুপচাপ কাল স্রোতে বয়ে গেছে কালনিঝুম দুপুর থেকে ধূসর বিকেলেঅলিন্দে একাকী […]