নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিল এলাকার মনিহার গ্রাম সংলগ্ন জৌতগোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ মিটার পূর্ব হতে উত্তর দিকে আট্টিকা রাস্তার অভিমুখে গন্ডবিলের পাকা রাস্তায় কাদা, জনগণের বেহাল দশা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গন্ডবিলের ঐ রাস্তাটি পাকা কিন্তু বসন্তপুর বিলে অবৈধ ভাবে অসংখ্য পুকুর খনন ও পুকুরের মাটি ট্রাকের মাধ্যমে ইটের ভাটায় দেওয়ার কারণে রাস্তার মাটি পড়তে পড়তে এমন রূপ নিয়েছে যে রাস্তাটি পাকা বলে মনেই হচ্ছে না।
অপর দিকে হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাটি গুলো নরম হয়ে রাস্তায় ব্যাপক হারে কাদা মাটি পিচ্চিল হওয়ায় বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ভ্যান চালক সহ সাধারণ জনগণ পড়েছেন বেহাল দশায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন,ইতিমধ্যে পুকুর খননের যন্ত্র ভেকু গাড়ির পরপর ৮ টি ব্যাটারি প্রশাসন জব্দ করার পরেও এখানো বন্ধ হয়নি ভেকু মেশিন,রাত হলেই শুরু হবে পালাক্রমে অবৈধ পুকুর খনন,কে শুনবে কার মানা,রাতে তো আর প্রশাসন আসে না।
এ বিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সরকার বলেন, এই রাস্তা ও এই এলাকার জনগনের বেহাল দশার একমাত্র কারণ হলো বসন্তপুর বিলে অবৈধ ভাবে অসংখ্য পুকুর খনন।
ফসলি জমির মালিকদেরকে বারবার পুকুর খননে নিষেধ করা হলেও তারা গভীর রাতে চুরি করে ভোর রাত অবধি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুকুর খনন করে এবং খননকৃত মাটি ইটের ভাটা সহ আশে পাশে বিক্রি করার কারণে আজ সড়কের এই বেহাল দশা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তার‘এর সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার নির্মিত রাস্তা, যার সুফল পাওয়ার কথা ছিল জনগণ, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবারও সরকারি অর্থ অপচয় করে হয়তো নির্মাণ করা হবে এই সড়ক। আবারও একই দূর্ভোগে পড়বে এলাকাবাসী। তাই প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান এলাকার ভুক্তভোগীরা।