বাংলাদেশে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন,
‘নির্বাচন কমিশন একটি জগদ্দল পাথরের মতো, কোনো কথা শোনে না’। করোনা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে ভোটের আয়োজন করায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কঠোর সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
জুম ওয়েবিনারে এক গবেষণা পত্র উপস্থানের সময় মঙ্গলবার (০৮ জুন) এমন মন্তব্য করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ।
অনুষ্ঠানে প্রশ্লোত্তর পর্বে করোনার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গ এলে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোপূর্বে এ ধরনের ভুল করেছে। এ ধরনের জনবিরোধী জনকল্যাণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এইবারও কিন্তু জগদ্দল পাথরের মতো, কোনো কথা শোনে না। জনগণের চাহিদা, উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনা করে না। জনস্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম করেই যাচ্ছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, আমরা আশা করবো এই ভুল আর করবে না। নির্বাচনগুলো থেকে সরে আসবে। কারণ, এখন নির্বাচনের সময় নয়। ইসির অবশ্যই এখতিয়ার আছে। মানুষের কল্যাণকে সবার আগে প্রাধান্য দেবে এটাই আশা করবো।
আগামী ২১ জুন ৩৭১টি ইউপি নির্বাচন, ১১টি পৌর নির্বাচন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন ও বেশ কিছু স্থানীয় সরকারের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পুনর্তারিখ দিয়েছে ইসি। যে নির্বাচনগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১১ এপ্রিল সম্পন্ন করেনি নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনে আগামী ১৪ জুলাই উপ-নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে ইসি।
ভোটের সময় না থাকার আইনি সীমাবদ্ধতার যুক্তি তুলে ধরে গত ২ জুন এসব নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনার প্রকোপ বাড়ায় সরকার যখন লকডাউন দিচ্ছে, সেই সময় ইসির নির্বাচন আয়োজনের বিরোধিতা করছেন অনেকেই। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকেও ভোট না করার সুপারিশ করেছে। কয়েকজন জেলা প্রশাসকও ভোট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত বা না করার বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে কিছু জানাননি। জানালে সেটা কমিশনে উপস্থান করা হবে। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত দেবে।