রাজনৈতিক কৌতুক সবসময়ই আমাদের হাসাতে সক্ষম, কারণ সেগুলো আমাদের পরিচিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নেতাদের নিয়ে মজার দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করে। নিচে কিছু রাজনৈতিক কৌতুক উপস্থাপন করা হলো, যা পড়ে আপনি হাসতে বাধ্য হবেন:
১. ভোটের বোকা
এক ভদ্রলোক তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিপরীতে ভোটে দাঁড়ালেন। ভোটে হেরে যাওয়ার পর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, “আপনি কত ভোট পেয়েছেন?”
তিনি উত্তর দিলেন, “তিনশ এক।”
পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, “আপনি তো জানতেন যে জিততে পারবেন না, তাহলে দাঁড়ালেন কেন?”
লোকটি মুচকি হেসে বললেন, “আমি ভোটে জিততে নয়, দেখতে চেয়েছিলাম এই শহরে কতজন বোকা আছে!”
২. সাইকেলের নিরাপত্তা
সংসদের গেটের সামনে এক ব্যক্তি তার ভাঙাচোরা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিলেন। দারোয়ান তাকে ধমকের সুরে বললেন, “এখানে সাইকেল রাখছ কেন? জানো না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান?”
লোকটি হেসে জবাব দিলেন, “কোনো সমস্যা নেই ভাই, সাইকেলে তালা মেরে দিয়েছি।”
৩. অলিম্পিকের ফলাফল
একবার অলিম্পিকে দুজন প্রতিযোগী দৌড়ালেন। একজন আমেরিকান, অন্যজন রুশ। আমেরিকান দৌড়বিদ সোনা জিতলেন। রাশিয়ার পত্রিকা ‘প্রাভদা’য় খবর ছাপা হলো: “এবার অলিম্পিক দৌড়ে রাশিয়া খুব ভালো করেছে, তারা দ্বিতীয় হয়েছে।”
৪. রাজনৈতিক সমাধান
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বললেন, “আমরা আমাদের দেশের লোকদের বিভিন্ন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করি। ধরুন, একজন শীতার্ত লোককে আমরা আগুন জ্বালানো শিখিয়ে দেই, ফলে তার আর কখনো উষ্ণতার অভাব হয় না।”
বাংলাদেশের মন্ত্রী বললেন, “আমাদের নীতি আরও সহজ। একজন শীতার্তকে আগুন জ্বালানো শেখানো সময়সাপেক্ষ কাজ। আমরা বলি, একজন শীতার্তকেই আগুনে পুড়িয়ে দাও, তাহলে বাকি জীবন আর তার উষ্ণতার দরকার হবে না।”
৫. রাজনীতিবিদ বনাম ডাকাত
দুই বন্ধু আলাপ করছে। একজন প্রশ্ন করল, “বল তো, একজন রাজনীতিবিদ আর একজন ডাকাতের মধ্যে পার্থক্য কী?”
দ্বিতীয় বন্ধু উত্তর দিতে না পেরে বলল, “তুই বল।”
প্রথম বন্ধু জবাব দিল, “ডাকাত ডাকাতি করে জেলে যায়, আর রাজনীতিবিদরা জেল থেকে এসে ডাকাতি শুরু করে।”
৬. প্রেসিডেন্টের পুনর্জন্ম
জর্জ ওয়াশিংটন একদিনের জন্য পৃথিবীতে আসার ইচ্ছা পোষণ করলেন। সমাধি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি কেয়ারটেকারকে বললেন, “তুমি কি আমার জন্য একটু শিক কাবাবের ব্যবস্থা করতে পারবে?”
কেয়ারটেকার ভীত হয়ে ফোন দিলেন জর্জ বুশকে। কিছুক্ষণ পর বুশ এসে কেয়ারটেকারকে নিয়ে সমাধিস্থানে পৌঁছালেন। বুশকে দেখে ওয়াশিংটন বিরক্ত কণ্ঠে কেয়ারটেকারকে বললেন, “তোকে আনতে বললাম শিক কাবাব, আর তুই আস্ত গরুই নিয়ে এলি?”
৭. গ্রিসের সামরিক অভ্যুত্থান
জেনারেল জর্জিও পাপাডোপুলাস ১৯৬৭ সালে গ্রিসে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন আর স্টাইলিয়ানোস প্যাটাকোস উপ-প্রধানমন্ত্রী। তাদের শাসনামলে একটি কৌতুক প্রচলিত ছিল: “গ্রিসে এখন দুটি মৌসুম—গ্রীষ্ম ও সামরিক শাসন।”
৮. রাজনীতিবিদের প্রতিশ্রুতি
নির্বাচনের আগে এক রাজনীতিবিদ প্রতিশ্রুতি দিলেন, “আমি নির্বাচিত হলে সবার জন্য কাজ করব।”
পেছন থেকে একজন চিৎকার করে বলল, “তাহলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব!”
৯. মন্ত্রীর বক্তৃতা
এক মন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, “আমাদের দেশে তিন ধরনের মানুষ আছে: যারা গণনা করতে পারে না এবং যারা পারে।”
১০. রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন
এক রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, “আমাদের পার্টিতে যোগ দিন, আমরা কিছুই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না, কিন্তু সেটা আমরা রক্ষা করব।”
এই কৌতুকগুলো আমাদের হাসায়, কিন্তু একই সঙ্গে রাজনীতির বাস্তবতা ও নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তাও করায়। হাসতে হাসতে আমরা কখনো কখনো গভীর সত্যের মুখোমুখি হই।