২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। অতীতের অভিশংসন, অপরাধমূলক অভিযোগ এবং হত্যাচেষ্টার পরও তিনি এই অভূতপূর্ব প্রত্যাবর্তন সম্পন্ন করেন। উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের সাথে, তীব্র শীতের কারণে অভিষেক অনুষ্ঠানটি ক্যাপিটল রোটুন্ডার অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবসের সাথে মিলে যায়, যা তৃতীয়বারের মতো কোনো প্রেসিডেন্ট এই ফেডারেল ছুটির দিনে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
শপথ গ্রহণের সময়, ট্রাম্প তার মায়ের উপহার দেওয়া বাইবেল এবং লিঙ্কন বাইবেল ব্যবহার করেন, যা পূর্বের প্রেসিডেন্টদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। অনুষ্ঠানে শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইও, বিদেশি নেতা এবং প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা আমেরিকান গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা ও অভিযোজনক্ষমতাকে তুলে ধরে।
তার অভিষেক ভাষণে, ট্রাম্প পূর্বের নেতাদের সমালোচনা করে আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য সাহসী প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি “সাধারণ জ্ঞানের বিপ্লব” শুরুর ঘোষণা দেন এবং সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচারের ভারসাম্য রক্ষার উপর জোর দেন। তার নীতিমালার মধ্যে রয়েছে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে সামরিক মোতায়েন, তেল উৎপাদন বৃদ্ধি, এবং আমেরিকানদের সুবিধার্থে শুল্ক আরোপ।
শপথ গ্রহণের পরপরই, ট্রাম্প বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করা, জীবাশ্ম জ্বালানি উন্নয়ন বৃদ্ধি, এবং ফেডারেল বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি প্রোগ্রাম সমাপ্ত করা। তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েল ও মিশরের নেতারা, যারা ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। অন্যদিকে, আল শার্পটনের মতো সমালোচকরা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবসের সাথে অভিষেকের সমাপতন নিয়ে মন্তব্য করেন।
এই অভিষেক অনুষ্ঠানটি আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসন দেশকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।