ব্যস্ত জীবনযাপন, কাজ এবং পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে অভিভাবকদের জন্য সব কিছু সামলানো অনেক সময় কঠিন হতে পারে। তবে কিছু সহজ টিপস অনুসরণ করলে জীবন অনেকটাই সহজ হতে পারে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল যা ব্যস্ত অভিভাবকদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও সুষ্ঠু করতে সহায়তা করবে।
১. পূর্ব পরিকল্পনা করুন
আপনার দিনের শুরুতে বা সপ্তাহের শুরুতে পরিকল্পনা করুন। দিনের কাজ, খাবারের মেনু, স্কুলের প্রয়োজনীয়তা—সবকিছুর পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখলে কাজগুলো আরও সুসংগঠিত হবে।
২. মাল্টি-টাস্কিং করুন
বিভিন্ন কাজ একসাথে করা সম্ভব হলে তা করুন। উদাহরণস্বরূপ, বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ গুছানোর সময় নিজের ব্যাগও প্রস্তুত করে নিতে পারেন। অথবা রান্নার সময় ফোনে জরুরি কল করতে পারেন।
৩. প্রযুক্তি ব্যবহার করুন
নতুন প্রযুক্তি এবং অ্যাপস ব্যবহার করুন, যেমন ক্যালেন্ডার অ্যাপ, স্মার্ট হোম ডিভাইস, এবং শপিং অ্যাপ। এই প্রযুক্তিগুলো আপনার সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে এবং দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ করবে।
৪. প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর জন্য কিট তৈরি করুন
রাতে পরদিনের জন্য সবার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেমন বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ, জামা-কাপড়, খাবার প্রস্তুত করুন। এতে সকালে সময় বাঁচবে এবং চাপ কমবে।
৫. বাচ্চাদের সহায়তা নিতে উৎসাহিত করুন
বাচ্চাদের বেসিক কাজের জন্য দায়িত্ব দিন যেমন খাবার প্যাক করা, নিজেদের জিনিসপত্র গুছানো। এটি তাদের দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে এবং আপনিও সহজে কাজগুলো সামলাতে পারেন।
৬. লাঞ্চ/ডিনার প্রিপের আগে প্রস্তুতি নিন
যতটা সম্ভব আগেভাগে খাবারের জন্য প্রস্তুতি নিন। যেমন, রাতে পরের দিনের খাবারের কিছু কাজ গুছিয়ে রাখুন অথবা প্রস্তুত করা খাবার ফ্রিজে রেখে দিন। এতে সময় বাঁচবে এবং আপনি দ্রুত খাবার পরিবেশন করতে পারবেন।
৭. সময় মাপুন
কোনো কাজ করতে কতটুকু সময় লাগবে তা আগে থেকে জানলে আপনি আপনার দিনকে আরও ভালভাবে সাজাতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, স্কুলের গেট থেকে ঘরে ফিরে আসা, কাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে কত সময় লাগে, এগুলি জানলে সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।
৮. কম কাজের দিনের জন্য ‘মিনিমালিস্ট’ পদ্ধতি অনুসরণ করুন
একদিনে কম কাজের জন্য সাধারণ এবং দ্রুত প্রস্তুত করা যায় এমন পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যেমন, এক বা দুই ধরনের খাবার তৈরি করুন, জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন, এবং কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কাজ না করেই মূল কাজগুলিতে মনোযোগ দিন।
৯. নিজের জন্য সময় বের করুন
ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য কিছু সময় বের করার চেষ্টা করুন। একদিন সকালে কিছু সময় একা বা ভালোবাসার সঙ্গীর সাথে কাটানো, এতে আপনি মানসিকভাবে সতেজ হতে পারবেন এবং বাকি কাজগুলো করতে শক্তি পাবেন।
১০. বিকল্প তৈরি করুন
যখন কোনো কিছু ঠিকমতো হয় না, তখন বিকল্প প্রস্তুত রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো কাজ বা পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, তাহলে অন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করুন যা সহজ এবং তাড়াতাড়ি কাজ করবে।
উপসংহার: ব্যস্ত জীবন যাপন করে সন্তানের দেখভাল এবং অন্য দায়িত্বগুলো পালন করতে হয়, কিন্তু এই ১০টি টিপস অনুসরণ করে আপনি নিজের জীবনকে আরও সহজ এবং সুষ্ঠু করে তুলতে পারেন। সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং কিছু কৌশল ব্যবহার করলে কাজগুলো আরও সহজ হয়ে উঠবে।
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!