বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা জাতির সামনে তুলে ধরবেন। আটজন সমন্বয়ক একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। সেখানে সমন্বয়কদের একজন, নাহিদ ইসলাম, বলেন, যারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব ও অংশ নিয়েছেন, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব – সবার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সরকারের কথা তারা ভাবছেন।
“তবে যারা ফ্যাসিবাদী সরকারে ছিলো বা তাদের সমর্থন কিংবা সহযোগিতা করেছে তারা কেউ সে সরকারে থাকতে পারবে না,” বলছিলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের এক দফা দাবি ছিলো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ।
“শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কিন্তু ফ্যাসিবাদী যে রাষ্ট্র কাঠামো, সেটা কিন্তু বজায় রয়ে গেছে। এ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের মাধ্যমে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই যে অভ্যুত্থান, যেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব ও আহবানে সারাদেশের ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করেছে। আমরা যারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি, অংশ নিয়েছি, সেসব প্রতিনিধি, নাগরিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব – সবার অংশগ্রহণে জাতীয় সরকারের কথা ভাবছি।”
ওই অনুষ্ঠানেই সমন্বয়করা জানান, রাত আটটায় সার্ক ফোয়ারা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের প্রস্তাবিত সরকারের একটি রূপরেখা ঘোষণা করবেন। “আমরা যারা এ আন্দোলনে নেতৃত্ব ও অংশ নিয়েছে, সেসব প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব – সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব আমরা উপস্থাপন করবো,” বলেছেন নাহিদ ইসলাম।