বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন’ চলাকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জনই পুলিশ সদস্য বলে নিশ্চিত করেছে বাহিনীটি। অনেক স্থানে সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। নির্বাহী আদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিস টানা তিন দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোম, মঙ্গল ও বুধবার এই তিন দিন ছুটি থাকবে।
সরকার ঘোষিত এই কারফিউ মানতে দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের আলোকে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সাবেক সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র জনতার মুখোমুখি দাঁড় না করানোর জন্য আহ্বান জানান।
সোমবার ঢাকার দিকে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা সারা দেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন এবং গণঅবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোরভাবে নৈরাজ্যবাদীদের দমন করতে আজ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা বাড়তে শুরু করলে রোববার দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু রয়েছে। তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।