ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জাচি হানেগবি, ইসরায়েলের কান পাবলিক রেডিওতে বলেছেন, তিনি আশা করছেন গাজার হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এই বছরের বাকি সময় ধরে চলবে।
তিনি বলেন, “আমরা আরও সাত মাস যুদ্ধের প্রত্যাশা করছি।” এছাড়াও, তিনি জানান যে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা-মিসর সীমান্ত বরাবর বাফার জোনের ৭৫% নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দক্ষিণ শহর রাফাহতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
রাফাহর বাসিন্দারা আরও জানান, সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলা চলছে এবং ট্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমাঞ্চলে হামলা চালানোর পর পশ্চাদপসরণ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছেন যে রাফাহর শেষ হাসপাতালটি কার্যত বন্ধ হওয়ার পথে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ আক্রমণ সেখানে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাফাহতে হামাসের অবশিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে খুবই নির্দিষ্ট ভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত তিন সপ্তাহে রাফাহ থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়েছেন।
মার্কিন সরকারও জানিয়েছে যে তারা বিশ্বাস করে না “একটি বড় স্থল অভিযান” চলছে, যা ইসরায়েলের সামরিক সহায়তার নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
ইসরায়েল বলেছে, রাফাহ দখল করতে হবে যাতে হামাসের আক্রমণের জবাব দেওয়া যায়, যেখানে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫২ জন জিম্মি হয়েছিল।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ৩৬,১৭০ জন নিহত হয়েছে।
হানেগবির মন্তব্যে আরও সাত মাস যুদ্ধের প্রত্যাশা ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াবে। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে যাতে ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ কৌশল প্রকাশ করে এবং যুদ্ধ পরবর্তী ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
হানেগবি আরও বলেন, “গাজা অভ্যন্তরে, IDF এখন ফিলাডেলফি করিডোরের ৭৫% নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি সময়ের সাথে সাথে এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।” পরিকল্পনাটি হল মিশরীয়দের সাথে সহযোগিতা করে অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ করা।
গাজার রাফাহ এলাকায় সমস্ত ফিল্ড হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত এবং সরবরাহের অভাবে জর্জরিত, WHO জানিয়েছে।
গাজায় হামের আক্রমণে রাফাহর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, যেখানকার হাসপাতালগুলি কার্যত বন্ধ হওয়ার পথে। WHO সতর্ক করেছে যে, ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত থাকলে, রাফাহর শেষ হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে।