চেক প্রজাতন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি, নিহত ১৫ আহত ২৪
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের কেন্দ্রস্থলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলির ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও জরুরি সেবা বিভাগ।
ইয়ান পালাখ স্কয়ারে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি ভবনে বৃহষ্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ এবং নগর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দুকধারী ওই ফ্যাকাল্টিরই একজন ছাত্র ছিল।
২৪ বছর বয়সী ওই ছাত্র এসেছিলেন প্রাগের ২১ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম থেকে। তার বাবাকে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বন্দুকধারী কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন, তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার পর গোটা পালাখ স্কয়ারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমে ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। আরেকজন বিবিসি-কে জানান, তিনি চারটি গুলির শব্দ শুনেছেন। সবাই ছুটোছুটি করে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিল।
ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভেতরেই অবস্থান করেছে।
এই হামলার বিষয়ে একটি ইমেইলে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসোফি ফ্যাকাল্টির এক স্টাফের কাছে পাঠানো এমন একটি ইমেইল দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাতে লেখা ছিল: “যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। কোথাও যাবেন না। যদি অফিসে থাকেন তাহলে সেটি বন্ধ রাখুন,তালা দিন। আসবাবপত্র দরজার সামনে রাখুন, বাতি নিভিয়ে দিন।”
বিবিসি জানায়, চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাগের ওল্ড টাউনে অবস্থিত। আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল ঐতিহাসিক চার্লস ব্রিজ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে এর অবস্থান।