যুদ্ধের মধ্যেও পশ্চিম তীরে সমর্থন বেড়েছে হামাসের
গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি জরিপে দেখা গেছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। শুধু পশ্চিম তীর নয়, বিধ্বস্ত গাজাতেও তাদের জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিম তীরের শাসক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ চান প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
জরিপটি পরিচালনা করেছে প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চ (পিএসআর)। গাজা ও পশ্চিম তীরের এক হাজার ২৩১ জন ফিলিস্তিনি এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। ২২ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর এটি পরিচালনা করা হয়। এটির ভুলের মার্জিন ধরা হয়েছে ৪ শতাংশ পয়েন্ট।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গাজার ৫৭ শতাংশ এবং পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ মনে করেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা সঠিক ছিল।
উত্তর দাতাদের অধিকাংশ মনে করেন, জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ রক্ষায় এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করতে হামাস এই পদক্ষেপ নিয়েছে। মাত্র ১০ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যার মাধ্যমে হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী করে বলেছেন, হামাসের যোদ্ধারা নৃশংসতা চালাচ্ছে এমন ভিডিও তারা দেখেননি।
৭ অক্টোবর হামাসের হামাসের হামলার পর গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল এবং এই লক্ষ্যে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ক্ষমতায় রয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আর গাজা শাসন করে হামাস। ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা কেড়ে নেয় হামাস। ২০০৬ সালের পর ফিলিস্তিনে কোনও নির্বাচন আয়োজন হয়নি। সর্বশেষ নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল।
জরিপের ফল অনুসারে, সব মিলিয়ে ৮৮ শতাংশ মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ চান। তিন মাসের আগের তুলনায় এই পদত্যাগের দাবি ১০ শতাংশ বেড়েছে। পশ্চিম তীরে এমন দাবি সমর্থন করেন ৯২ শতাংশ।
একই সময়ে পশ্চিম তীরে ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তারা হামাসকে সমর্থন করেন। সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়েছে সমর্থন। আর গাজায় এই সমর্থন তিন মাস আগে ৩৮ শতাংশ হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমর্থন আরও কমেছে। প্রায় ৬০ শতাংশ মনে করেন, এটিকে বিলুপ্ত করা উচিত।