ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ‘ইফতার’
রমজান মাসে সারাদিন না খেয়ে সংযম পালনের পর সন্ধ্যায় যে পানীয় ও খাবার খেয়ে মুসলমানরা রোজা ভাঙেন, সেই ইফতারকে বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা-ইউনেসকো ।
বুধবার এই স্বীকৃতি দিয়ে ইফতারকে বিশ্বের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তুলে ধরেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
লিখিত এক ঘোষণায় ইউনেস্কো বলেছে, সন্ধ্যায় এ সময়টিকে অনেক দেশে মুসলমানরা জমায়েত হওয়ার এবং একসঙ্গে খাওয়ার উপলক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। এটি দান, সামাজিক বিনিময় ও সংহতি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
রমজান মাসে রোজা রাখেন না এমন লোকজনও ইফতারের আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইফতার প্রস্তুত, বানানো ইত্যাদি কাজকে কেন্দ্র করে পরিবারের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা সঞ্চারিত হয়।
এ সময় প্রায়ই শিশু ও তরুণদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের উপাদান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কাজ চলার সময় বাবামায়েরা রোজা রাখার উপকারিতা এবং ইফতারের সামাজিক মূল্য ও ভূমিকা সম্পর্কিত জ্ঞানও ছড়িয়ে দেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও প্রায়ই ইফতারের আয়োজন করে। টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ও সামাজিক মাধ্যমও তাতে সমর্থন যোগায়।
সোমবার থেকে ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা আন্তঃসরকারি কমিটি’ বতসোয়ানায় বৈঠকে বসেছে। ওই বৈঠকেই এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
ইফতারকে বিশ্বের ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিতে তুরস্ক, ইরান, উজবেকিস্তান ও আজারবাইজান ইউনেস্কোর কাছে যৌথভাবে আবেদন করেছিল।