ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চায় হামাস: ইসমাইল হানিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। এমনকি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও বর্তমানে দু-পক্ষ একটি সমঝোতা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে বলে দাবি করেছেন হামাসের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
মঙ্গলবার কাতারে বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হানিয়া বলেন, ‘আমরা (ইসরায়েলের সঙ্গে) একটি সমঝোতা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছি। কাতারের মাধ্যমে আমরা এই চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছি এবং তাতে সম্মতিও দিয়েছি।’ পরে রয়টার্সকে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতেও একই কথা বলেছেন হামাসের চেয়ারম্যান।
সম্ভাব্য এই সমঝোতা চুক্তিতে কী কী শর্ত রয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি হানিয়া; তবে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা হামাস নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটি শীর্ষে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগের দিন সোমবার এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল কান জানিয়েছিল, গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় ইসরায়েল। এই সমঝোতার শর্ত— যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে থাকা হামাস নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
আগের দিন সোমবার এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল কান জানিয়েছিল, গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় ইসরায়েল। এই সমঝোতার শর্ত— যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে থাকা হামাস নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।
যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।
সূত্র: এএফপি