১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন শিক্ষার্থী খাদিজা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন শিক্ষার্থী খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুই মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বোনের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন তিনি।

খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ।

মো. শাহজাহান আহমেদ জানান, জামিনের কাগজপত্র গতকাল রোববার কারাগারে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সোমবার ভোরে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু খাদিজার স্বজনের কারাগারে পৌঁছাতে দেরি করায় ৯টার কিছু পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাফটকে তাঁর বোন চিশতিয়া তাঁকে রিসিভ করেন। খাদিজাতুল কুবরা মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বোনের সঙ্গে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। এই আদেশের ফলে তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম আর খাদিজার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস।

- বিজ্ঞাপন -

এর আগে, চলতি বছরের ১০ জুলাই খাদিজার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন শিক্ষার্থী খাদিজা
সোমবার সকালে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর খাদিজাতুল কুবরা। ছবি সংগৃহীত

খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ এনে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়।

গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হলে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান চেম্বার আদালত। পরে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখে শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!