যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গাজার প্রধান হাসপাতাল: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হাসপাতালের চারপাশে হামলা বাড়িয়েছে। এতে গাজা শহর ও উত্তর গাজার কিছু হাসপাতালের ওপর সরাসরি আঘাত আসছে।
হামলার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে থাকা শতশত ফিলিস্তিনি ও ৩৭ নবজাতক শিশুর জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এখন গাজার এই হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল শনিবার থেকে বেশ কিছু হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের তথ্য গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নাও মিলতে পারে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
ইসরায়েল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ হাসপাতালের চারপাশে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
ফিলিস্তিনিরা লড়াই থেকে বাঁচতে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল।
এর আগে অবরুদ্ধ অঞ্চলের এই বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক বলেছিলেন, ‘তার হাসপাতালের কম্পাউন্ডে রাতভর বারবার আঘাত করা হয়েছে। জেনারেটরে আঘাত করার পর কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ ছিল না।’
হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে ফিজিশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল বলেছে, ‘বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে হাসপাতালের দুটি শিশু মারা গেছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) টুইটারে বলেছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশে হামলা নাটকীয়ভাবে তীব্র হয়েছে। হাসপাতালে আমাদের কর্মীরা ভেতরে একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।’
বিশ্বজুড়ে বড় বড় শহরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস, বাগদাদ, করাচি, বার্লিন ও এডিনবার্গ। এদিকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ইসরায়েলি নাগরিকেরা হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানাতেও জড়ো হয়েছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর অন্তত ১১ হাজার ৭৮ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা সংশোধনের পর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ কিছু বেশি।
সূত্র : আল জাজিরা