গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিতে ইসরায়েল-হামাস তীব্র লড়াই
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির রাস্তায় রাস্তায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। টানেল ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে হামাস যোদ্ধারা।
যুদ্ধের পর তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে, ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তখনো ফিলিস্তিনিদেরই গাজা শাসন করতে হবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়েছে। আর হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা বুধবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, সেটিতে গাজা সিটির বোমা বিধ্বস্ত ভবনগুলোর আশপাশের রাস্তায় তীব্র লড়াই হতে দেখা গেছে।
হামাসের সূত্রগুলো ও পৃথক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধারা ভূগর্ভস্থ টানেলগুলো ব্যবহার করে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে, তারা ইসরায়েলি ট্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
৭ অক্টোবর গাজার হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ১৪০০ জন নিহত ও আক্রমণকারীরা প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন থেকেই গাজায় ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারপর থেকে বুধবার পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০৫৬৯ জন নিহত হয়েছে, এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ শিশু।
ইসরায়েল জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তাদের ৩৩ জন সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ দ্বিতীয় মাসে গড়ানোর পর ওয়াশিংটন হামাসের শাসনবিহীন গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরায়েলি ও আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
এখনও কোনো পরিকল্পনা সামনে না এলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওয়াশিংটনের প্রত্যাশার একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন।
বুধবার টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “লড়াই শেষ হওয়ার পর গাজা পুনর্দখল হবে না। গাজাকে অবরোধ বা অবরুদ্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না।”
ব্লিনকেন জানিয়েছেন, লড়াই শেষ হওয়ার পর সেখানে ‘ক্রান্তিকালীন একটি সময় পর্বের’ দরকার হতে পারে, কিন্তু সংকট পরবর্তী শাসনে ‘অবশ্যই ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন সরকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং গাজা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে পশ্চিম তীরের সঙ্গে একীভূত হবে’।