পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া স্লুইস’র বাইরের গেট ভেঙ্গে জাল পেতে মাছ ধরার কারণে ইয়াস সৃষ্ট জোয়ারের পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
এতে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়া মানুষ গুলো বিপাকে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
এর আগে প্রশাসনের নির্দেশে খালের স্লুইস সংলগ্ন কচুরিপানা পরিষ্কার করে পানি ওঠানামা করাতেন আবুল বাশার গাজী।
কিন্তু ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে লোকালয়ে লবন পানি প্রবেশ করে বাড়িঘর, পুকুর, মাছের ঘের ডুবে যায়।
বর্তমানে ওই স্লুইস এর গেট ভেঙ্গে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মাছ ধরার কাজ করছেন।
ফলে ভাটার সময় কিছু পানি নামলেও আবার জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে।
বর্তমানে চান্দুপাড়ার মানুষ এ স্লুইসটির জন্য চরম বিপাকে পড়েছেন।
৪৭/৫ নম্বর পোল্ডারের এই স্লুইসটি অবৈধ নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে জনস্বার্থ রক্ষা করা হোক এমন দাবি এলাকার পানিবন্দী মানুষের।
অভিযুক্ত স্বপন গাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান খালটি পরিষ্কার করে পানি ওঠানামা করাতে তাকে বলেছেন।
স্লুইস গেট ভেঙ্গে জাল পেতে মাছ ধরার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, মাছ ধরা নিয়ে দুই জনের মধ্যে ঝামেলা চলছে।ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টা সমাধান করে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।