হিরোশিমায় হামলার ৭৮ বছর পর আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে আমেরিকা
জাপানের হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে লিটল বয় নামের নিউক্লিয়ার বোমা ফেলা হয়েছিল। হামলার ৭৮ বছর পর সম্প্রতি সেই বোমার তুলনায় ২৪ গুণ বেশি শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে আমেরিকা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, পেন্টাগন এই প্রোগ্রামের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চাইছে, যার লক্ষ্য বি৬১ পারমাণবিক বোমার একটি আধুনিক রূপ তৈরি করা, যার নাম হবে বি৬১-১৩।
মার্কিন সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব জন প্লাম্ব বলেছেন, আমেরিকার একটি দায়িত্ব রয়েছে যে, বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের যে সক্ষমতা প্রয়োজন তা মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজনে কৌশলগত আক্রমণের জবাব দেওয়া এবং আমাদের মিত্রদের আশ্বস্ত করা।
কতটা শক্তিশালী হবে বি৬১-১৩?
নতুন বোমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হবে ৩৬০ কিলোটন। যেখানে হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার ধারণক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। বি৬১-১৩ হবে নাগাসাকিতে ফেলা বোমার থেকে প্রায় ১৪ গুণ বড়, যা ছিল ২৫ কিলোটন।
পেন্টাগনের পক্ষে প্রকাশিত একটি তথ্য অনুসারে, শক্তিশালী নতুন বোমাটি ‘বি৬১-১২’ এর উন্নত সুরক্ষা এবং নির্ভুলতার বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বোমা কোথায় ব্যবহার করা হবে?
আধুনিক বিমান এবং রিলিজ নোটগুলো নতুন বোমা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রুদের এবং বৃহত্তর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আরও বেশি আঘাত করার নতুন বিকল্প ব্যবস্থা দেবে।
বোমা তৈরির বিষয়টি অনুমোদিত হলে বোমাটি আমেরিকার মোট পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার বৃদ্ধির পরিবর্তে এগজিস্টিং মার্কিন পরমাণু মধ্যে কিছু বি৬১-৭ বোমাকে প্রতিস্থাপিত করবে।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকা সমস্যা
পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই নতুন খবর এসেছে। এটি ‘বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি’ নামে পরিচিত। রাশিয়া এই মাসের শুরুতে চুক্তির অনুমোদন প্রত্যাহার করে। এর ফলে রাশিয়ারর পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পথ পরিষ্কার হয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেভাদায় একটি পারমাণবিক পরীক্ষা সাইটে একটি উচ্চ-বিস্ফোরকের পরীক্ষাও চালায়, যা দুই শক্তির মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল ‘মার্কিন পারমাণবিক সম্প্রসারণ লক্ষ্যের সমর্থনে নতুন প্রযুক্তি বিকাশের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’