সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের অস্ত্রগুদামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের হামলার জবাবে সিরিয়ায় ওই মিলিশিয়াদের অস্ত্রগুদামে আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি জঙ্গি বিমান।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল মধ্যে চলমান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যেই শুক্রবার পাল্টাপাল্টি এ হামলা ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কোর ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর দুটি স্থাপনায় হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
ইরানের ছায়া বাহিনীগুলোর হামলা অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত আরও পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ার করেছে পেন্টাগন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল সপ্তাহে ইরান সমর্থিত বাহিনীগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর সেনাদের ওপর অন্তত ১৯বার হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও লেবাননের হিজবুল্লাহ, এদের সবাই ইরানের সমর্থন পায়।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহ বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রও ‘এই আগুন থেকে রেহাই পাবে না’।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর প্রায় সাড়ে ৪টার দিকে ইরাক সীমান্তবর্তী সিরীয় শহর আবু কামালের কাছে মার্কিন বিমানগুলো হামলা চালায়। দু’টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলাগুলো চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, “এই নির্ভুল আত্মরক্ষামূলক হামলা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ধারাবাহিক ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হামলার প্রতিক্রিয়া।
“মার্কিন বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ইরান-সমর্থিত এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং (এগুলো) অবশ্যই বন্ধ হবে।”
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ জানায়, বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্যস্থল করার বিরুদ্ধে তেহরানকে সতর্ক করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে বিরল এক বার্তা পাঠিয়েছেন।
চলতি মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আকস্মিক হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামরা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠিয়ৈছে। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানায়, প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্যে হাজির হয়েছে অথবা সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে। তারা ওই অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করবে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৭০২৮ জন নিহত হয়েছেন যাদের ২৯১৩ জন শিশু।