ইসরায়েলের হামলাতেই ‘প্রায় ৫০’ জিম্মি মারা গেছে: হামাস
গাজায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাশেম ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধাদের হাতে বন্দি থাকা প্রায় ৫০ ইসরায়েলি নাগরিক ইসরায়েলের বিমান হামলাতেই মারা গেছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে কাশেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বৃহস্পতিবার এই দাবি করেন। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেননি।
বিবিসি হামাসের এমন দাবির সত্যাসত্য যাচাই করে দেখতে পারেনি। গাজায় রাতভর ইসরায়েলের ট্যাংক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েকণ্টা পরই হামাস তাদের ওই বিবৃতি প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, “আল কাশেম ব্রিগেডের হিসাবমতে, ইহুদিদের বিমান হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ফলে গাজায় নিহত ইহুদি বন্দির সংখ্যা আনুমানিক প্রায় ৫০ ছুঁয়েছে।”
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২২৪ জন ইসরায়েলিকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জিম্মির সংখ্যার এই হিসাব দিয়েছে।
গাজা থেকে এই জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় আছে ইসরায়েল। গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করছে মূলত জিম্মিদের উদ্ধার করা এবং হামাসকে নির্মূল করার জন্য।
সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মার্কিনিসহ দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্তিও দিয়েছে হামাস যোদ্ধারা। তবে জিম্মিদের এই মুক্তিতেও গাজায় হামলা থামায়নি ইসরায়েল।
ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সাঁজোয়া ট্যাংক ও বুলডোজারের বহর নিয়ে সীমানা পেরিয়ে গাজার বিভিন্ন স্থানকে নিশানা করে গত রাতজুড়ে হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)।
গাজায় যে স্থল অভিযান চালানোর ছক কষছে ইসরায়েলি বাহিনী সেটি এখনও তারা শুরু করেনি। তবে রাতভর চালানো এই ট্যাংক হামলা পরবর্তী ধাপের যুদ্ধ শুরুরই প্রস্তুতি বলে জানিয়েছে তারা।