গাজায় ক্ষতি পোষাতে দরকার বিপুল সাহায্য: জাতিসংঘ
গাজায় বছরের পর বছরের অবরোধে শ্বাসরুদ্ধকর অর্থনীতি এবং ধুঁকতে থাকা উন্নয়নের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ২০২২ সালের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর তৈরি করা এই প্রতিবেদনে আঙ্কটাড গাজার ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে। গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধাদের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরুর আগেও পরিস্থিতিও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের অবরোধ, বিধিনিষেধ এবং ঘন ঘন সামরিক অভিযানে গাজা যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে গেছে, তা পুষিয়ে নিতে দাতা দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়ানো প্রয়োজন।”
গাজার মানুষের সহায়তার জন্য দাতাদের এই সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জেনিভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আঙ্কটাডের বিশ্বায়ন ও উন্নয়ন কৌশল বিভাগের পরিচালক রিচার্ড কোজুল-রিট বলেছেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার অর্থনীতিকে টেনে তুলতে কত অর্থ প্রয়োজন তা পুরোপুরি হিসাব করা কঠিন। বিশেষ করে চলমান সংঘাত না থামলে এই হিসাব করা কঠিন। তবে এই পরিমাণ কোটি কোটি ডলার হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতবছর ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ দাতাদের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছিল মাত্র ২৫ কোটি ডলার এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পেয়েছিল ৩০ কোটি ডলার।
২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে গাজায় বিদেশি সাহায্য একলাফে অনেক কমে গেছে। এই সাহায্য ২০০ কোটি ডলার (জিডিপি’র ২৭ শতাংশ) থেকে গতবছর কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ কোটি ডলারে, যা জিডিপি’র ৩ শতাংশেরও কম।
গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বেকার এবং অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে।