পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় এক কিশোরীকে দুদিন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় গত শনিবার বিকেলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মাসুম হাওলাদার (৩০) ও তরিকুল ইসলাম (১৮)। মাসুম ইন্দুরকানি উপজেলার ও তরিকুল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৫ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী ছবি তুলতে ইন্দুরকানি উপজেলার একটি বাজারে যায়। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচিত তরিকুল ইসলামের দেখা হয়। এ সময় তরিকুলের সঙ্গে মেয়েটিকে দেখে তারিকুলের বোনের স্বামী মাসুম হাওলাদার তাঁদের বাড়িতে যেতে বলেন। তরিকুলকে তাঁর (মাসুমের) বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর মেয়েটিকে মাসুম এক বাড়িতে নিয়ে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এদিকে মেয়েটি বাড়িতে না ফেরায় তাঁর নানি খোঁজাখুঁজির পর তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তরিকুল জানান, কিশোরীকে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা ইন্দুরকানি থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর নানি ইন্দুরকানি থানায় দুজনকে আসামি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামি মাসুম হাওলাদার ও তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর নানি বলেন, ‘আমার মেয়ে মারা গেছে। মেয়ের জামাই আবার বিয়ে করে চট্টগ্রাম থাকে। মেয়েটি আমার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।’
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার ওই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।