হামাসের ‘শত শত সামরিক স্থাপনা’ ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের শত শত সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এ সম্পর্কে আইডিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বুধবার দিনভর গাজা উপত্যকায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এই অভিযানে শত শত সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র, টানেল শ্যাফট, গোয়েন্দা অবকাঠামো, অপারেশনাল হেডকোয়ার্টার এবং অন্যান্য হেডকোয়ার্টার।’ এই অভিযানে ১০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলেও এক্সবার্তায় নিশ্চিত করেছে আইডিএফ।
মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে গত ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে হামাস ও আইডিএফের মধ্য। গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলা ও সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে অনুপ্রবেশের মধ্যে দিয়ে এই যুদ্ধের সুত্রপাত।
প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে যুদ্ধের শুরুর দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানে নামে ইসরায়েল এবং হামাসের এই হামলার জবাবে শনিবার থেকেই গাজা উপত্যকায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
একই সঙ্গে গাজার সব সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়, পানি ও বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।
৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। দারিদ্র ও বেকারত্বপীড়িত এই ভূখণ্ডের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার সহায়তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
১২ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণ ও সীমান্ত অবরোধের জেরে বন্ধ রয়েছে গাজা-মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং। ফলে ত্রাণের সরবরাহ আসতে না পারায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন গাজার সাধারণ বেসামরিক লোকজন।
তবে গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি’র সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি এবং সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবারের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে রাফাহ ক্রসিং।
সূত্র : বিবিসি