ইসরায়েলকে সহায়তায় জাহাজ ও নজদারি বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ, ১০০ নাবিক এবং নজদারি বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে এ সহায়তা দেবে ঋষি সুনাক সরকার।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানা গেছে, পসেইডন পি-৮ বিমান ও অন্যান্য বিমানের টহল ফ্লাইট শুক্রবার শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট ঘোষণা করেছে, ইরান বা রাশিয়ার মতো দেশগুলো থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সহায়তার যেকোনও প্রচেষ্টার পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাইপ্রাসের আকটরিরির আরএএফ ঘাঁটিতে যোদ্ধা ও বিমানবাহিনী সতর্ক অবস্থা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় শত শত বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় গাজায় ফিলিস্তিনির মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের তাণ্ডবে ১৩০০ নিহত হন।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, যুক্তরাজ্যের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে– সেখানকার আঞ্চলিক ও উত্তেজনা নিরসন নিশ্চিত করা। হামাসের সন্ত্রাসী হামলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার নিরীহ নিহত মানুষের কাছে মানবিক ত্রাণ সহয়তা পৌঁছে দেওয়া।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সরকারপ্রধান এই ঘটনায় ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।