মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ দুপুরে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন স্থানীয় একজন সাংবাদিক।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে কৃষিবিষয়ক তথ্য জানতে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। ঐ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিজেকে ‘স্যার’ সম্বোধন করে কথা বলতে বলেন। সেই সাথে তিনি ঐ সাংবাদিককে বলেন, অনেক পরিশ্রম করে তাকে ‘এই চেয়ারে’ বসতে হয়েছে। তাই ‘ভাই’ না ডেকে তাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করেন। আর তাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করার মধ্যে তিনি অসম্মানিত বোধ করেছেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিবচরে বোরো ধান চাষ সম্পর্কে তথ্য আনতে তিনি অফিসে যান। কর্মকর্তার কক্ষে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে নিজের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ওই কর্মকর্তার কুশল জানতে চান। এ সময় তাকে ভাই বলে ডাকলে তিনি ক্ষেপে যান বলে জানান তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া ঐ সাংবাদিক। এরপর আমার সঙ্গে কোনো কথা না বলে বসিয়ে রাখেন। ৭-৮ মিনিট পর ‘কি তথ্য লাগবে’ জানিয়ে অফিস সহকারীর সঙ্গে দেখা করতে বলেন তিনি।
ঐ সাংবাদিক আরও বলেন, আমি তো কোনো ব্যক্তিগত কাজে যাইনি। সংবাদ সংগ্রহে তথ্যের জন্য গিয়েছি। তাকে ভাই ডাকায় তথ্য দেয়ার পরিবর্তে তিনি ক্ষোভ ঝাড়লেন আমার ওপর।
ওই সময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ বলেন, আপনাদের ‘ভাই’ বলে ডাকার অভ্যাসটা আর গেল না। জানেন, আমাদের এই চেয়ারে বসতে কত কষ্ট করতে হয়েছে!
শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশের কাছে এ বিষয় ফোনে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার বলা একটি ভদ্রতা। ভদ্রতা না করলে তাকে কী বলে বলেন? তাছাড়া তার কাজ তো করে দিয়েছি। এটা নিয়ে আবার কী হলো? ‘ভাই’বলা কী ভদ্রতা নয়? জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন ।
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তার এটা বলার কথা না। যাই হোক, কিছু মনে করবেন না; আমি তাকে বলে দেব। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না করে। আমি বিষয়টি দেখছি। অল্প বয়স হলে যা হয় আর কী।