গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ স্থগিত করল ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় শনিবার দিন গড়িয়ে রাতেও দফায় দফায় বিমান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অনেকটা অন্ধকার ও আতঙ্কে রাত্রটা পার করেছে ফিলিস্তিনিরা। এ অবস্থার মধ্যেই গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, গাজায় হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। ২০০৭ সাল থেকে উপত্যকাটিতে স্থল ও জলপথে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সরকার।
আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে চলতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। এমন বাস্তবতায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করলে চরম মানবিক পরিস্থিতি দেখা দেবে।
শনিবার এই ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকাগুলো লক্ষ্য করে কমপক্ষে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়েছে হামাস। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যটি নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা গাজায় যে কোনও সময় স্থল অভিযানে নামতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিমান হামলায় গাজায় ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অন্যদিকে ইসরায়েলে অন্তত ২৫০ নিহত হন। কিন্তু এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা।
হাজারো মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধাদের অভিযান ও হামলায় আড়াই শতাধিক ইসরায়েলি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: বিবিসি