সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের অভিযানে নিহত ২৬
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের বিমানবাহিনীর অভিযানে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবারের ওই অভিযানে উত্তর সিরিয়ার একটি তেলের কূপ ও সংরক্ষণাগারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য সরাসরি ‘নিহত’ উল্লেখ না করে ‘নিষ্ক্রিয়’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ ধরনের অভিযান শেষে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশের ক্ষেত্রে তুরস্কের সেনাবাহিনী বরাবর ‘নিহতের’ পরিবর্তে ‘নিষ্ক্রিয়’ ব্যবহার করে।
গত ১ অক্টোবর, রোববার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা দু’টি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়, এতে আহত হন দুই জন দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা। তুরস্কের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানা গেছে, রোববারের হামলাটি ঘটিয়েছে আসলে ওয়াইপিজি নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। একসময় ওয়াইপিজি একটি পৃথক রাজনৈতিক গোষ্ঠী থাকলেও বর্তমানে এর একটি অংশ পিকেকের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে।
অপর অংশটি আবার যুক্তরাষ্ট্রের মদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী তুর্কি স্পেশাল ডেমেক্রেটিক ফোর্সের (তুর্কি এসডিএফ) অঙ্গসংগঠন। এসডিএফের প্রধান মিশন হলো সিরিয়ায় সক্রিয় আইএস জঙ্গিদের দমন করা।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পিকেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ওয়াপিজিকে নিষিদ্ধ করেনি। তবে তুরস্কে ওয়াইপিজি নিষিদ্ধ।
বৃহস্পতিবারের অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই ওয়াইপিজির সদস্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের যে এলাকায় তুরস্ক অভিযান চালিয়েছে, সেটি ওয়াইপিজির অন্যতম ঘাঁটি এলাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবারের এই অভিযানের পর তুরস্কের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার এসডিএফ। সেই নিন্দাকে সমর্থন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার ড্রোন হামলা চালিয়েছিল তুরস্ক। তবে হামলার আগে আকাশে থাকতেই ড্রোনটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে আঙ্কারা বলেছে, হামলার উদ্দেশে পাঠানো ড্রোনটি তুর্কি সেনাবাহিনীর নয়।
সূত্র : রয়টার্স