৪১ কূটনীতিক বহিষ্কার: ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কানাডীয় কূটনীতিকদের দেশ ছাড়ার যে দাবি করেছে ভারত তা নিয়ে দিল্লির সঙ্গে অটোয়ার আলোচনা চলছে। মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে কর্মরত কানাডীয় ৬২ জন কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে কানাডায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দিল্লি। ভারতের এই দাবির ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে ট্রুডো খালিস্তানপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ করার পর এই কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগদানের পূর্বে ট্রুডো কিংবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ভারতের দাবির বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে বা কূটনীতিক বহিষ্কারের সংখ্যা নিশ্চিত করেননি। উভয়েই বলেছেন, তারা চান দুই দেশের মধ্যে বাগাড়ম্বর ও রাজনৈতিক বিরোধ যেন বৃদ্ধি না পায়।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আগে যেমন বলেছি আমরা উসকানি চাই না। ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে যা করা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা করছি।
ট্রুডো বলেন, এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। তাই এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, ভারতে আমাদের কূটনীতিকদের অবস্থান, যারা কানাডীয় ও কানাডীয় পরিবারগুলোকে সহযোগিতা দিতে ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং আমরা দায়িত্বশীলতা ও গঠনমূলকভাবে কাজ করব।
ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা স্বীকার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা একান্তে কাজ করা অব্যাহত রাখব। কারণ আমরা মনে করি কূটনৈতিক আলোচনা গোপন থাকাই ভালো।
গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পর ভারতীয় দূতাবাসের গোয়েন্দা প্রধানকে বহিষ্কার করে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও এক কানাডীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পরে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা স্থগিত করা হয়।
ভারত সরকার কানাডার অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছে। ভারতকে দায়ী করার পর থেকে ট্রুডো ও কানাডার অপর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বক্তব্যের সময় সতর্কতার সঙ্গে শব্দ চয়ন করছেন।