বরিশাল নগরীতে দেয়াল দিয়ে বাড়ী দখলের অভিযোগে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের কে বাধা, ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে কোতয়ালী পুলিশ। পরে পুলিশের অতিরিক্ত একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরকারী বিলাশ বিশ্বাস জানান তারা গত ৪০ বছর যাবৎ এই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। নিক্কন বিশ্বাসের কাকা বিমল বিশ্বাসের সাথে দেড় শতাংশ জমি বিক্রি নিয়ে তাদের বায়না চুক্তি হয়। এর মধ্যে তিনি মারা গেলে উত্তরাধিকারীরা দলিল করে দিচ্ছে না। তারা এই জমি তাদের দাবী করে দেয়াল দিয়ে আটকে তাদের বাড়ীঘর দখল নিতে চায়। বৃহসপতিবার তারা রান্নাঘুর ও সিড়ি ভাংচুর ও বাড়ির চারিদিকে দেয়াল তুলে দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা প্রথমে পুলিশ কে জানাই, পরে পুলিশ এসে তাদের নিবৃত্ত করে, দুপুরে তারা আচমকা আবার দখল করার চেষ্টা করলে ৯৯৯ এ কল দেই।
নিক্কন বিশ্বাসের মা বানী বিশ্বাস বলেন ‘এটা আমাদের জায়গা, কাগজও আছে, আমরা থাকতে দেয়ায় বিলাস বিশ্বাস আছে, কিন্ত আমাদের বৃষ্টির পানি নামার জায়গা না থাকায় তাদের কে জায়গা ছাড়তে বলা হলেও তারা ছাড়ে নাই’। এটা নিয়ে আমরা কাউন্সিলরের কাছে গেলে তারা আমাদের দেয়াল তোলার অনুমতি দেয়।
কোতয়ালী থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, ৯৯৯ এ কল পেয়ে তারা ২১ নম্বর ওয়ারডের মানু মিয়ার গলিতে গেলে স্থানীয় কাউন্সিল শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নার অনুসারীরো তাদের কে সরকারী কাজে বাধা প্রদান করেন। এই সময় কাউন্সিলর নিজে উপস্থিতি ছিলেন ও পুলিশ কে হুমকি ও করতব্য কাজে বাধা প্রদান করেছেন বলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি দখলের খবর ৯৯৯ এ পেয়ে আমরা পুলিশের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। এই সময়ে বিরোধীয় পক্ষ বাড়ির চারপাশে দেয়াল তুলে দিচ্ছিল। আমরা গিয়ে নিষেধ করে এ্টা নিয়ে বসার কথা জানালে স্থানীয় কাউন্সিলর এর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করে। এসময় কাউন্সিলরও সরকারী কাজে বাধা দেয় ও পুলিশ কে হুমকি দেয়। এই ঘটনায় আমি মৌখিক ভাবে পুলিশ কমিশনার কে জানিয়েছি। এই ঘটনার পরে আমরা থানায় ভীতিকর অবস্থায় ছিলাম।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান এই ঘটনায় নিরযাতনের শিকার পরিবারটি একটি মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই ঘটনায় নিক্কন বিশ্বাস, সুমন দাস, তানভীর খান তুষার, ও হাশেম সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি।