ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়া শুরু সাগরে, চীনে নিষিদ্ধ জাপানি সামুদ্রিক খাবার
জাপান ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ১০ লাখ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়া শুরু করেছে। এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে চীন। এই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জাপান থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় চীনের জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যেও ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার চীনের শুল্ক সংস্থা ঘোষণা করেছে, এটি খাদ্য নিরাপত্তার তেজস্ক্রিয় দূষণ রোধ করার জন্য জাপানের সামুদ্রিক জলজ পণ্য আমদানি সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করবে। চীনা সরকার সাগরে দুষিত পানি ছাড়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করে আসছে। এটিকে অত্যন্ত স্বার্থপর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সমুদ্র সমগ্র মানবজাতির সাধারণ সম্পত্তি। জোরপূর্বক ফুকুশিমার পারমাণবিক বর্জ্য পানিকে ছাড়া অত্যন্ত স্বার্থপর ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কাজ। যা আন্তর্জাতিক জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) প্ল্যান্টের অপারেটর জাপান সরকারের অনুমোদিত অল্প পরিমাণে পানি পাম্প করেছে। টেপকো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩ মিনিটে পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। সমুদ্রের পানি ছাড়ায় আশেপাশে অস্বাভাবিক কোনও কিছু ঘটেনি।
প্রথম দিন পানি ছাড়ার সময় লাইভ ভিডিওতে ইঞ্জিনিয়ারদের দেখা গেছে। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা পরিকল্পনাটি অনুমোদন করেছে।
সাগরে পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রতিবেশী দেশগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। মৎস্যজীবীদের উদ্বেগ এটি তাদের মৎস শিল্পকে ধ্বংস করবে। কারণ ভোক্তারা ফুকুশিমা ও আশেপাশে থেকে ধরা সামুদ্রিক খাবার থেকে বিরত থাকবে।
২০১১ সালে ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটে। এটিকে মানুষ ও সমগ্র বিশ্বের জন্য মানবসৃষ্ট দ্বিতীয় ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে মনে করা হয়।