পোল্যান্ডের পর বেলারুশ সীমান্তে সেনা পাঠালো লাটভিয়া
রাশিয়ার মিত্র বেলারুশে সশস্ত্র ওয়াগনার বাহিনী অবস্থান নেওয়ার পর প্রতিবেশী দেশগুলো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে সেনা পাঠিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ লাটভিয়া। একই উদ্বেগ জানিয়ে ন্যাটোর পোল্যান্ডও সম্প্রতি কয়েক হাজার সেনা পাঠায় সীমান্ত এলাকায়।
লাটভিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে দেশটির সীমান্তরক্ষীদের সহায়তার নিদের্শ দিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত দিয়ে ৯৬টি অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে ছুটিতে থাকা লাটভিয়ার বর্ডার গার্ড কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদেরকে সীমান্তে কঠোর নজর রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানায় দেশটি সরকার।
একই দিন বর্ডার গার্ড বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের সীমান্তের দিকে লোকজন ঠেলে দেওয়া এবং সংগঠিতের পেছনে বেলারুশ সরকার দায়ী। এদের অনেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী।
নিরাপত্তার হুমকির কারণে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চেয়েছে দেশটির সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লাটভিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইনারা মুরনিস, সেনাবাহিনীকে সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
কতজন সেনা পাঠানো হয়েছে এ বিষয়ে তথ্য দেয়নি দেশটির সরকার। লাটভিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ১৭২ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে।
জুন মাসে রাশিয়ায় ওয়াগনারের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর বাহিনীটির ওয়াগনার যোদ্ধাদের একাংশ বেলারুশে চলে আসে। পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিউজ মোরওয়েইকি বলেছেন, ওয়াগনারের প্রায় ১০০ যোদ্ধার একটি দল বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং পরিস্থিতি ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, বেলারুশের ওয়াগনার যোদ্ধারা অভিবাসীর ছদ্মবেশে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারে বা তারা বেলারুশের সীমান্ত রক্ষী হিসেবে হাজির হয়ে আরও অবৈধ অভিবাসীদের পোলিশ ভূখণ্ডে প্রবেশে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা