ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদর দফতর ‘ডাক ভবন’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই ভবন উদ্বোধন করবেন বলে বুধবার (২৬ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দুটি বেইজমেন্টসহ ১৪তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের সদর দফতর শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়।
নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্য-প্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদফতর যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক সদর দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাফতরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরি।
এ সংকট নিরসনে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে ডাক অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।
ডাক ভবন উদ্বোধনের ঐতিহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।