ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেইনের ২০ ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেইনের পাঠানো ২০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। শনিবার দুপুররাতের এ হামলা চেষ্টার ঘটনায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে টেলিগ্রাম অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম ১৪টি ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করে অন্য ছয়টি ধ্বংস করা হয়েছে, বলেছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব খবর জানালেও মন্ত্রণালয়টির প্রতিবেদনের তথ্য তারা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেইনের ড্রোনগুলোর লক্ষ্যস্থল কী ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির আগে রাশিয়ার নিয়োগকৃত ক্রাইমিয়ার গভর্নর সের্গেই ক্রিউচকোভ জানিয়েছিলেন, বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি উপদ্বীপের বিভিন্ন অংশে আকাশপথে চালানো হামলা প্রতিরোধ করে চলেছে।
ক্রাইমিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের টেলিগ্রাম অ্যাপের চ্যানেলে বলেছে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রাইময়া উপদ্বীপকে সংযোগকারী ক্রাইমিয়া সেতু স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে পরবর্তী প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মে মাসের প্রথমদিকে ক্রেমলিনের আকাশে একটি ড্রোন ধ্বংসের পর থেকে ইউক্রেইনে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে ও রাশিয়ার অনেক ভেতরে ড্রোন হামলার পরিমাণ বেড়ে গেছে।
ইউক্রেইন প্রায় কখনো এসব হামলার দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। কিন্তু তারা বলেছে, রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস কিইভের পাল্টা-আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য।
২০২২ এর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রতিবেশী ইউক্রেইনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ আক্রমণ শুরু করার নির্দেশ দেন। এর আট বছর আগে ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে মস্কো নিজেদের ভূখণ্ডের অংশভুক্ত করে নেয়।