ইমরান খানের সাজার রায় স্থগিতের আবেদন খারিজ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের সাজার রায় স্থগিতের আবেদন বুধবার বাতিল করেছে আদালত।
তবে সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে কারাগারে এ-শ্রেণীর কারাকক্ষে সরিয়ে নেওয়ার যে আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান ইমরানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা।
রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচা সংক্রান্ত তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ রুপি জরিমানা করে ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে ওই সাজা স্থগিতের আবেদন করা হয়।
আদালতের বাইরে ইমরানের আইনজীবী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সাজা স্থগিতের যে আবেদন করেছিলাম তা গ্রহণ করা হয়নি।”
২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান বিদেশি বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ তিনি ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি ‘বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিয়েছিলেন’ বলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়। যেটি তোষাখানা দুর্নীতি মামলা নামে পরিচিত।
দণ্ডিত হওয়ার কারণে পাকিস্তানের রাজনীতিতে এরই মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছেন ইমরান খান। এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইমরান অবশ্য কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অস্বীকার করেছেন। ৭০ বছরের ইমরানকে বর্তমানে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে একটি সি-শ্রেণীর কক্ষে রাখা হয়েছে।
ইমরানই পাকিস্তানের প্রথম সাবেক কোনও প্রধানমন্ত্রী, যাকে এই ‘কুখ্যাত’ কারাগারে রাখা হয়েছে। বসবাসের বাজে পরিবেশ এবং বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিদেরকে এখানে বন্দি করে রাখার কারণেই এই ‘অ্যাটক’ কারাগারের কুখ্যাতি রয়েছে।