“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১২) বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
গত ০২ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যায় সিপিসি-২ পাবনা, র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ কর্তৃক পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম এলাকায় পরিচালিত একটি অভিযানে ০১টি একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ সুজন (২৮) (পিতাঃ নূর বক্স, গ্রামঃ মঙ্গলগ্রাম, ইউনিয়নঃ হাদল, থানাঃ ফরিদপুর, জেলা পাবনা)কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিল না। উক্ত তথ্য পাওয়ার পর র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অধিনায়ক মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম তাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন।
উক্ত নির্দেশনা পেয়ে পাবনা কোম্পানি সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাবনা জেলার ফরিদপুর থানাধীন হাদল ইউনিয়নের মঙ্গল গ্রামে একটি চায়ের দোকানের পাশে বাঁশের মাচার উপরে বসে অস্ত্রসহ আড্ডা দেওয়ার সময় র্যাব অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়।
এমতাবস্থায়, অস্ত্রসহ পলায়নরত আসামী মোঃ সুজন খাঁ’কে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের সময় উদ্ধারকৃত একনলা বন্দুকটিতে ০১ রাউন্ড গুলি লোড করা ছিল এবং তার দেহ তল্লাশি করে আরও ০৫ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সুজনসহ ৭/৮ জনের একটি দল এলাকায় অস্ত্রসহ ঘোরাফেরা করে। এসব দুস্কৃতিকারীরা মাঝে মধ্যে দিনের বেলায় বাড়িতে আসে এবং রাতে বিলের পানিতে ভাসমান নৌকায় থাকে। বাকি সন্ত্রাসীদেরও গ্রেফতার করার জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত সুজনের বিরুদ্ধে ০২টি হত্যা মামলা রয়েছে। ২০১৭ সালে ফরিদপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ ০১/০১/২০১৭, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড অনিল কুমার সাহা কার্তিক হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী এবং ২০২১ সালে ফরিদপুর থানার মামলা নং-৫, তারিখঃ ১৬/০১/২০২১, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড মূলের পাবনার সাঁথিয়ার আলমাস হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী। উভয় মামলায় সে পলাতক ছিল এবং তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। গ্রেফতারকৃত সুজন হত্যা কান্ডের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করেছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!