পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ২৩ জনই শিশু
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে একটি ডানপন্থি রাজনৈতিক দলের কর্মী সম্মেলনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ২৩ জনই শিশু বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববারের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওই দিন প্রদেশটির বাজাউর জেলার আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ছোট শহর খার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে শানডি এলাকায় জামিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর কর্মী সম্মেলনে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ হামলার ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত ৮৩ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত বেশ কয়েকজনের অবস্থা এখনও অত্যন্ত সঙ্কটজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাজাউরের জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নাসীব গুলের।
সোমবার তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস) কে এ আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে পাকিস্তানের ইংরেজি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে।
কট্টর ইসলামপন্থিদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্য জেইউআই-এফ এর পরিচিতি থাকলেও সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য লড়াইরত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর নিন্দা করেছে দলটি।
এর আগেও জেইউআই-এফের সমাবেশে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস-কে। সোমবার আইএসের মুখপত্র বার্তা সংস্থা আমাক জানিয়েছে, এক আত্মঘাতী হামলাকারী খারের শানডি এলাকায় জেইউআই-এফের সম্মেলনে ভিড়ের মধ্যে গিয়ে তার বিস্ফোরকপূর্ণ জ্যাকেটের বিস্ফোরণ ঘটান।
সোমবার এক বিবৃতিতে বাজাউর পুলিশের ডিপিও নাজির খান জানিয়েছেন, তদন্ত অনুযায়ী এ হামলায় ১২ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।
জেইউআই-এফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার। তারা নভেম্বরের মধ্যে আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকা জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শরিফ আত্মঘাতী এ বিস্ফোরণের ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়’ ওপর হামলা বলে অভিহিত করে এর নিন্দা করেছেন। আমাকের টেলিগ্রাম চ্যানেলে করা এক পোস্টে আইএস গণতন্ত্রকে ইসলামের প্রতি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ বলে বর্ণনা করেছে।