বরিশালের মুলাদীতে যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে শাশুড়ি আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের দড়িচরলক্ষীপুর গ্রামের কালাম বেপারীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম তার পুত্রবধু প্রিয়া আক্তারকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রিয়া আক্তার উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কাওসার সিকদারের কন্যা।
প্রায় ২ মাস আগে কালাম বেপারীর পুত্র ইব্রাহিমের সাথে প্রিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রিয়ার বাবা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল যৌতুক দেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি মরিয়ম বেগম তাকে মারধর করতো এবং তাকে আরও টাকা এনে দেবার জন্য চাপ দিত। প্রিয়ার স্বামী ইব্রাহিম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
গতকাল রবিবার ইব্রাহিম নির্মান কাজে বের হলে শাশুড়ি (মরিয়ম বেগম) পুত্রবধুকে (প্রিয়া) তার বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বললে প্রিয়া টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরে শাশুড়ি তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রিয়া দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে পিতার বাড়ির উদ্দেশ্যে মুলাদী পশ্চিম তেরচর রাস্তার মাথা খেয়াঘাটে পৌছায়। শাশুড়িও পিছু ধাওয়া করে খেয়াঘাট পৌঁছে প্রিয়াকে খেয়া থেকে টেনে হিঁচড়ে আড়িয়ালখাঁ নদীতে নামিয়ে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে; স্থানীয়রা প্রিয়াকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং শ্বাশুড়ি মরিয়মকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরিয়ম বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রিয়া আক্তার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে স্ত্রীকে মারধরের খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন প্রিয়ার স্বামী ইব্রাহিম।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, পুত্রবধুকে নির্যাতনের অভিযোগে মরিয়মকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া প্রিয়ার স্বামী ইব্রাহিমকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে।