ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে, নিহত ১৭
ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে পড়ে ১৭ জনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় খুলনা-ঝালকাঠি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাশার স্মৃতি পরিবহনের বাসটি ভাণ্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ছত্রকান্দায় পৌঁছে বাসের চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয় বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামক এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪০ জনের মত যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসে বাসটি।
এর আগে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে ঠিক কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মারা গেছেন সেই তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামকস্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা নিজেরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে খুলনা-ঝালকাঠি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তার দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে।