আফ্রিকার দেশগুলোতে লড়াই চালিয়ে যাবে ওয়াগনার: প্রিগোজিন
রাশিয়া থেকে বিতাড়িত ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ আফ্রিকার দেশগুলোতে সক্রিয় থেকে লড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
গতমাসে হঠাৎ করেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসে ওয়াগনার গ্রুপ। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর হস্তক্ষেপে সেই বিদ্রোহ কয়েকঘণ্টা স্থায়ী হলেও তার জের এখনো কাটেনি। ওয়াগনারের ভবিষ্যত এখন কী, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
এর মধ্যেই ‘আফ্রিক মিডিয়া টিভি’ প্রিগোজিনের একটি অডিও সাক্ষাৎকার প্রচার করে। যেখানে তিনি বলেন, “অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না, আফ্রিকায় আমাদের কার্যক্রম হ্রাস পাবে না।”
বিবিসি বিশেষজ্ঞ দিয়ে প্রিগোজিনের ওই অডিও যাচাই করিয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, সেটি ওয়াগনার প্রধানেরই কণ্ঠ।
আফ্রিক মিডিয়া একটি ক্রেমলিনপন্থি নিউজ চ্যানেল। তাদের মূল দর্শক ফরাসি-ভাষী আফ্রিকান দেশগুলো। এই দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের সম্পর্ক আছে।
বিবিসি জানায়, মালি এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (সিএআর) সহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রিগোজিনের যোদ্ধারা সক্রিয়। ওই সব দেশে তারা যুদ্ধাপরাধ করছে বলে অভিযোগ নানা মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের।
যুক্তরাজ্য বৃহস্পতিবার ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানায় বিবিসি।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যক্তিদের মধ্যে সিএআর ও মালিতে সক্রিয় ওয়াগনার বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা দুই কমান্ডারও রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আফ্রিকা মহাদেশে অবৈধ পথে সোনা লেনদেনের মাধ্যমে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর অভিযোগ করেছে। তবে প্রিগোজিন জোর দিয়ে বলেছেন, তাদের কাজের ধরনটাই ভিন্ন।
আফ্রিক মিডিয়া টিভিকে তিনি আরও বলেন, “আমরা যেসব দেশে কাজ শুরু করেছি সেই সব দেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। কিংবা বলা যায়, এখন সহযোগিতা ও উন্নয়নের কাজ করছি।
“গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বা কোনো দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য যদি ওয়াগনার গ্রুপের সাহায্য প্রয়োজন হয়, তবে এ বিষয়ে চুক্তি হওয়ার পরপরই কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত হয়ে যাই।”
প্রিগোজিনের এই বক্তব্য অনেকটা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মতই। যিনি বলেছেন, সম্প্রতি যা কিছু ঘটেছে তা সত্ত্বেও রাশিয়া এবং ওয়াগনার উভয়ই আফ্রিকায় থাকবে।