ইউক্রেইনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলে ও পূর্বাঞ্চলে রাতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ইউক্রেইনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর ওদেসার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মঙ্গলবার ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করা কের্চ সেতু সোমবার এক বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেইন দুটি সমুদ্রগামী ড্রোন দিয়ে সেতুটিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোতে ঘটানো বিস্ফোরণকে তারা সন্ত্রাসী হামলা অভিহিত করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল।
ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাতে ছোড়া ছয়টি কালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সবগুলো এবং ৩৬টি ড্রোনের মধ্যে ৩১টি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চলের উপরের আকাশে ধ্বংস করা হয়। বাকীগুলো পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক, খারকিভ ও নিপ্রোপিত্রোভস্ক অঞ্চলের আকাশ থেকে ধ্বংস করা হয়।
ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড জানিয়েছে, রাতে রাশিয়া যে ছয়টি কালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তার সবগুলো ওদেসার আকাশেই ধ্বংস করা হয়। আর আশপাশের এলাকাগুলোর আকাশ থেকে ইরানের তৈরি ২১টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
তারা বলেছে, এগুলোর ধ্বংসবশেষ পড়ে ও বিস্ফোরণের ধাক্কায় ওদেসার বেশ কিছু বাড়ি ও বন্দরের অনির্দিষ্ট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় একজন বৃদ্ধ আহত হন, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির শস্য রপ্তানির ঐতিহাসিক চুক্তির মেয়াদ সোমবার শেষ হয়। এ চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে রাজি হয়নি রাশিয়া। কৃষ্ণ সাগরের যে বন্দরগুলো দিয়ে এসব শষ্য রপ্তানি হতো ওদেসা তার অন্যতম।
রাশিয়ার হামলার পর মাইকোলাইভ বন্দরের একটি স্থাপনায় আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র। এটিও কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী একটি বন্দর শহর।
আগুনের ঘটনাটি ‘খুব গুরুতর’ ছিল বলে টেলিগ্রাম অ্যাপে জনিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড জানিয়েছে, আগুন খুব দ্রুত নিভিয়ে ফেলে হয় এবং এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মাইকোলাইভের আকাশ থেকে চারটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেইনীয় পক্ষের এসব দাবী স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।