দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু ৩১
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধস অন্তত ৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং ৪ হাজার লোককে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
টানা তৃতীয় দিনের তুমুল বৃষ্টিতে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অসংখ্য স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় নর্থ চুংচেয়ং প্রদেশে একটি বাঁধ উপচে পড়ার কথাও জানিয়েছেন। দুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হান ডক-সু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৩১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি বন্যা, ভূমিধসে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ও ৭ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বন্যার কারণে একাধিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিক থেকে গোয়েসান বাঁধের পানি উপচে পড়া শুরু হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাঁধ সংশ্লিষ্ট অনেক নিচু এলাকা, অসংখ্য সংযোগ সড়ক এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে, অনেক বাসিন্দা তাদের ঘরের ভেতর আটকা পড়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রেল চলাচলের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ কোরাইল সব ধীরগতির এবং দ্রুতগতির কয়েকটি বুলেট ট্রেনের চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে। যে বুলেট ট্রেনগুলো চালু থাকবে তার অনেকগুলোর চলাচলও ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার নর্থ চুংচেয়ংয়ে ভূমিধসের ঘটনায় রেললাইনের ওপর মাটি ও বালি ছিটকে আসার পর একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এক প্রকৌশলী আহত হলেও ট্রেনটি সেসময় যাত্রী পরিবহন না করায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।