জাপানে বন্যা-ভূমিধস, ঝুঁকিতে ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ
মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের কিছু অংশ। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও কাদা ধসে অন্তত একজন নারী নিহত হয়েছেন, নিখোঁজ হয়েছেন ৬ জন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিউশু দ্বীপের দক্ষিণ অংশে ফুকুওকা এবং ওতা প্রিফেকচারের জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া সংস্থা সোমবার জানায়, ওই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নদী তীরবর্তী এবং পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফুকুওকা এবং ওইটাতে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের জীবন হুমকিতে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ১৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, অন্তত ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
কয়েকদিন ধরে কিউশু এবং চুগোকু অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বেশ কয়েকটি নদীতে কাদা ধস ও বন্যা হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা। ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। কিছু এলাকায় তো পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফুকুওকা প্রিফেকচারের সোয়েদা শহরে এক বৃদ্ধ দম্পতি মাটির নিচে চাপা পড়েছিলেন। একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৭৭ বছর বয়সী নারীকে পরে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়।
কিয়োডো নিউজ এজেন্সি বলছে, সাগা প্রিফেকচারের কারাতসু শহরে উদ্ধারকর্মীরা তিনজনের সন্ধানে আছেন। তাদের বাড়ি মাটি ধসে পড়ে গেছে। এ অঞ্চলের অন্য কোথাও নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন।
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতের সময় ভূমিধস প্রায়ই ঘটে। কারণ জাপানে সাধাণরত পাহাড়ের নীচে সমতল ভূমিতে বাড়ি তৈরি করা হয়।
২০২১ সালে আটামিতে ভূমিধসে ২৭ জন নিহত হয়েছিল। তিন বছর আগে ২০১৮ সালে, বর্ষাকালে পশ্চিম জাপানে বন্যা এবং ভূমিধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা