বাংলাদেশের বরিশালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ার উত্তর ইউনিয়নের সলদি লক্ষ্মীপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক জামাল রাঢ়ী গ্রুপের সিদ্দিকুর রহমান ও ছত্তার ঢালি। এদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ছত্তার হলেন জামাল রাঢ়ীর ভাই। আর সিদ্দিক ওই বাড়িতে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- উলানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লালু হাওলাদার, সোহাগ সরদার, ভুট্ট সরদার, জয়নাল আবেদীন ও সুমন সরদার।
স্থানীয়রা জানান, তিন দিন আগে জামাল রাঢ়ীর বাড়ির পাশেই একটি বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে কালাম বেপারীর লোকজন আসলে সেখানে একজনকে আটকে রাখা হয়। ওই বাড়িতে জামালের ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা বিয়ে বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এর জের ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই এদের দ্বন্দ্ব ছিল। ফলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধূলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালাম বেপারী ও ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক জামাল রাঢ়ীর সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল বলেও জানান স্থানীয়রা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার জামালের বাড়ির পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতর্কিতে হামলা চালায় কালাম বেপারীর বাহিনী। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিদ্দিকুর রহমান। বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে ছত্তার ঢালী গুরুতর আহত হন। বরিশাল নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রভাব বিস্তার ও স্থগিত ঘোষিত ইউপি নির্বাচন নিয়েই এ সংঘাত। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে চার জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।