নতুন এক প্রস্তাবে নরওয়েতে ফিরতে পারে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ
নতুন এক প্রস্তাবের আওতায় যুক্তরাজ্যে নিজেদের মর্যাদা পরিবর্তন করা কিংবা নরওয়ের স্ব-শাসিত ভূখণ্ড হয়ে যেতে পারে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ, যে দ্বীপ একসময় নরওয়েরই ছিল।
মঙ্গলবার অর্কনি দ্বীপ কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরিষদে যাবে নতুন প্রস্তাব। সেখানেই ‘বিকল্প ধারার শাসন পরিচালনার’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অর্কনি দ্বীপ চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ এবং বৈদেশিক অঞ্চলে থাকা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো শাসনব্যবস্থায় থাকবে নাকি ডেনমার্কের ভূখন্ডে স্ব-শাসিত ফ্যারো দ্বীপের মতো থাকবে ভেবে দেখা হবে সেটি।
অর্কনি পরিষদের নেতা জেমস স্টোকান বলেছেন, যুক্তরাজ্যে বর্তমান অবস্থায় অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ তহবিল ঠিকমত পাচ্ছে না। এ মুহূর্তে দ্বীপটিকে সত্যিই সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
বিবিসি রেডিও স্কটল্যান্ডকে তিনি বলেন, অর্কনিতে বহু ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্য এবং স্কটল্যান্ড সরকার দুইই মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যান্য অঞ্চল যে সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, অর্কনি কে তা দেওয়া হচ্ছে না।
বিভিন্ন পরিষেবা চালু রাখতে অর্কনি-কে স্কটিশ সরকার যে তহবিল দিচ্ছে, তা একই পরিষেবার জন্য শিটল্যান্ড এবং পশ্চিমের দ্বীপগুলোর পাওয়া তহবিলের চেয়ে মাথাপিছু অনেক কম।
অর্কনির আর্থিক অবস্থা নিয়ে নিবিড় গবেষণা কখনও চালানো হয়নি উল্লেখ করে স্টোকান বলেন, নর্থ সী তেল প্রকল্পের মাধ্যমে এই দ্বীপপুঞ্জ ৪০ বছর ধরে দেশে অবদান রেখে এসেছে। অথচ চলার মত অর্থই তারা পাচ্ছে না।
তাই অর্কনির জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার নতুন পথ খোঁজার চিন্তাভাবনা করছেন স্টোকান। তার এ চিন্তাকে সমর্থন করতে অর্কনি পরিষদের জনপ্রতিনিধিদেরকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ পরিষদ ২০১৭ সালে বৃহত্তর স্বায়ত্ত্বশাসন প্রশ্নে ভোট অনুষ্ঠান করেছিল। তখন তারা কেবল ‘জোরাল কন্ঠের’ জন্য এ পদক্ষেপ নেয়। অর্কনির পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেনি।
১৪৭২ সালে স্কটল্যান্ডের অংশ হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ ছিল নরওয়ে এবং ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে।
অর্কনি পরিষদের নেতা স্টোকান বলেন, “আমরা যতদিন না যুক্তরাজ্যের অংশ থেকেছি, তার চেয়েও বেশি সময় নর্স কিংডোমের (ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) অংশ থেকেছি। অর্কনির রাস্তায় রাস্তায় মানুষ এসে জিজ্ঞেস করে আমরা কখন নরওয়েতে ফিরে যাচ্ছি।
“দু’য়ের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধন এবং গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। কোন কাজটি করা সম্ভব সেটি খুঁজে বের করার এখনই মোক্ষম সময়,” বলেন তিনি।