কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র
ভয়ঙ্কর দাবানলের কবলে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। দিন দিন এই দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর সেই দাবানলের ধোঁয়ায় নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
মূলত পূর্ব কানাডায় প্রচুর দাবানল জ্বলছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ১৫০টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দাবানলের ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের আকাশও ধোঁয়ায় ভরে গেছে। সেই ধোঁয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা বড় অংশের ওপর চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বায়ুদূষণ অসম্ভব বেড়ে গেছে। বয়স্ক ও যাদের গুরুতর অসুখ আছে, তাদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। গর্ভবতীদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই কানাডা থেকে দাবানলের ধোঁয়া আমেরিকায় আসছিল। কিন্তু এখন কুইবেকে দাবানল থেকে যে ধোঁয়া ছড়াচ্ছে, তা খুবই ক্ষতিকর বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া-সহ বিশাল এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়েছে। এখানে স্কুলগুলো অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৬০০টি ফ্লাইট এই ধোঁয়ার জন্য দেরিতে ছেড়েছে বা বাতিল হয়েছে। নরওয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের দেশেও এই ধোঁয়া আসতে পারে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, দাবানল সাধারণত কানাডার পশ্চিমদিকে হয়। এবার হয়েছে পূর্বদিকে। নোভা স্কটিয়া, কুইবেক, অন্টারিওতে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এতো বিপুল পরিমাণ ধোঁয়া যাচ্ছে।
চলতি বছরে কানাডায় ৩৩ লাখ হেক্টর জমিতে গাছপালা দাবানলের ফলে পুড়ে গেছে। এখন শুধু কুইবেকেই ১৬০টি দাবানল জ্বলছে। দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে।
এদিকে দাবানল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আগেই কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে। এবার দাঁড়ালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় যোগ দিচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, ‘কানাডা আমাদের সাহায্য চেয়েছিল। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে