মেক্সিকোয় মিলল মানুষের দেহাবশেষ ভর্তি ৪৫টি ব্যাগ
মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য জালিসকোর একটি গিরিখাত থেকে মানুষের দেহাবশেষ ভর্তি ৪৫টি ব্যাগ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে নিখোঁজ হওয়া সাত ব্যক্তির সন্ধানে অভিযান চালাতে গিয়ে এসব ব্যাগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
গত ২০ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৩০ বছরের কাছাকাছি। মেক্সিকোর সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। তবে মৃতদেহগুলো কীভাবে এই গিরিখাতে এল এখনো তা জানা যায়নি।
মেক্সিকোর সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া সাতজনকে খুঁজতে মিরাডোর দেল বস্ক উপত্যকায় অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার গুয়াদালাজারার শহরতলির জাপোপানে একটি ১২০ ফুট গভীর গিরিখাতের একেবারে নিচ থেকে প্রথম ব্যাগটি পাওয়া যায়। এরপর একে একে পর্যন্ত ৪৫টি ব্যাগ পাওয়া গেছে।
এসব ব্যাগের ভেতর নারী ও পুরুষের দেহাবশেষ রয়েছে। পাথুরে পথে সূর্যালোকের অভাবের কারণে অভিযানটি বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়।
দমকলকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার নিয়ে কাজ করছে। সমস্ত দেহাবশেষ না পাওয়া পর্যন্ত তা চলবে। এ ছাড়া ব্যাগগুলোতে কতজনের দেহাবশেষ রয়েছে, তাদের পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ জানতে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে নিখোঁজ সাতজনের হদিস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
২০০৭ সালে মেক্সিকোর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফেলিপ ক্যালডেরন ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই দেশটিতে নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত প্রায় এক লাখ লোকের নাম রয়েছে নিখোঁজের তালিকায়।
নিখোঁজদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশ পুরুষ। তাদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশের বয়স ছিল আঠারোর কম। এদের বেশির ভাগই সংগঠিত অপরাধের শিকার।
স্বজনেরা বলছেন, নিখোঁজদের উদ্ধার করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নেয় তা যথেষ্ট না। জাতিসংঘ এটিকে ‘তীব্র মানবিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছে।