বরিশালের আগৈলঝাড়ার জোর পূর্বক এক স্কুল ছাত্রীকে তার পিতা-মাতা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে দিতে চাইলে ওই স্কুল ছাত্রী বাল্য বিয়ে থেকে বাঁচতে থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।
পরে পুলিশ ওই ছাত্রীর পিতা ও মাতাকে আটক করে মেয়ের অসম্মতিতে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না-হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার জন্য মুচলেকা নেয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের শাহজাহান ফকিরের মেয়ে ও বিএইচপি একাডেমীর ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী তিন্নি আক্তারকে (১৪) পাশ্ববর্তী বসুন্ডা গ্রামের রুহুল তালুকদারের ছেলে হাসিব তালুকদারের সাথে অবৈধ ভাবে নোটারীর মাধ্যমে গোপনে বিয়ে দেয় স্কুলছাত্রীর পিতা-মাতা।
নোটারীর মাধ্যমে বিয়ের কথা ওই স্কুল ছাত্রীকে জানায়নি তার পিতা-মাতা।
রোববার রাতে ওই ছাত্রীর স্বামী দাবী করে তাদের বাড়িতে আসেন হাসিব তালুকদার।
এই বিয়ের কথা ওই স্কুল ছাত্রী তিন্নি আক্তার জানতে পেরে রোববার রাতেই তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে জানায়।
পরে থানার এসআই মনিরুজ্জামান ঐ রাতে গিয়ে ফুল্লশ্রী গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীর পিতা শাহজাহান ফকির ও মাতা পারুল বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম সরোয়ার জানান, সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর পিতা শাহজাহান ফকির ও মাতা পারুল বেগমের কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।