উ. কোরিয়ার প্রথম ‘গুপ্তচর’ স্যাটেলাইট বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে
প্রথমবার মহাকাশের উদ্দেশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো উত্তর কোরিয়ার। দেশটির সরকার দাবি করেছে, বুধবার উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পর ত্রুটির কারণে স্যাটেলাইটটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। প্রতিক্রিয়ায় গত সোমবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে সতর্ক অবস্থানে রাখার নির্দেশ দেয় জাপান। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চোখ ছিল উত্তর কোরিয়ার গতিবিধির ওপর।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএন) জানিয়েছে, উৎক্ষেপণ করা নতুন স্যাটেলাইট ‘চেওলিমা-১’ কোরিয়ার পশ্চিম সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রথমে স্বাভাবিকভাবে উৎক্ষেপণ হয়। প্রথমধাপ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক স্টার্ট আপের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এটি।
প্রথম চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার পর বলছে, যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয়বার উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে পিয়ংইয়ং।
এর আগে দ. কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানান, স্থানীয় সময় বুধবার উত্তর কোরিয়ার উ. পিয়ংগান প্রদেশের টংচাং কাউন্টি অঞ্চলের দিকে ৬টা ২৯ মিনিটে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শনাক্ত করা হয়।
এই ঘটনার পরপরই প্রতিবেশী দ. কোরিয়ার সিউলে বিমান হামলার সতর্ক সাইরেন বেজে উঠে। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্ত। শহরে স্পিকার ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে নাগরিকদের বার্তা পাঠিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রস্তুত হতে বলা হয়। কিন্তু ভুলবশত এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে স্বীকার করে।
দ. কোরিয়ার জেসিএস জানান, রকেটটি প্রথমে রাডার শনাক্ত হলেও কিছুক্ষণ পর অদৃশ্য হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মাঝ আকাশে বিধ্বস্ত হতে পারে।
এদিকে জাপান সরকারও বুধবার ভোরে ওকিনাওয়ারের বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা পাঠিয়ে তাদের ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়।
স্যাটেলাইট বিধ্বস্ত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি পিয়ংইয়ং।