সোমালিয়ায় আফ্রিকান শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলা
সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) শান্তিরক্ষীদের একটি ঘাঁটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব হামলা চালিয়েছে। উগান্ডার বাহিনীগুলো এই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে।
সোমালিয়ার সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষেই ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে বুলামারেতে আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিশন মিশন ইন সোমালিয়া-র (এটিএমআইএস) ঘাঁটিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। এটিএমআইএস আল শাবাবের সঙ্গে লড়াইয়ে সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারকে সহায়তা করছে।
উগান্ডার পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (ইউপিডিএফ) সহকারী মুখপাত্র ডিও আকিকি বলেছেন, “ (শুক্রবার) আমাদের ঘাঁটিতে আল শাবাবের জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। আমরা এটিএমআইএসের সদরদপ্তরের সঙ্গে দাপ্তরিক যোগাযোগের জন্য অপেক্ষা করছি।”
পরে এক বিবৃতিতে এটিএমআইএস জানিয়েছে, আল শাবাব গাড়ি ও আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ব্যবহার করে ঘাঁটিটিতে হামলা চালিয়েছে। মিশন ও এর মিত্রদের বাহিনীগুলো বিমানযোগে গিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করে পলায়নপর জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।
কিন্তু হতাহতের কথা তারা কিছু জানায়নি।
আল শাবাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ওই ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে এবং ১৩৭ জন সেনাকে হত্যা করেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের এ সংখ্যা সরকারি কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। আল শাবাব হতাহতের যে সংখ্যা জানায় তা প্রায় সবসময় সরকারি ভাষ্য থেকে আলাদা হয়।
বুলামারেতে সোমালি সামরিক বাহিনীর আক্রান্ত এ ঘাঁটিটির সংলগ্ন এলাকায় আল শাবাবের শক্তিশালী অবস্থান আছে বলে নিম্ন শাবেলে অঞ্চল থেকে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ নামের এক সোমালি ক্যাপ্টেন।
“হামলার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে তীব্র লড়াই হয়েছে। আল শাবাবসহ সব পক্ষেই ব্যাপক হতাহত হয়েছে,” বলেছেন তিনি।
বুলামারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তীব্র বিস্ফোরণ ও ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়।
২০০৬ সাল থেকে আল শাবাব সোমালিয়ার পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ও দেশটিতে নিজস্ব ধরনের ইসলামিক শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে আসছে। এক সময় তারা সোমালিয়ার বিশাল এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু গত বছর থেকে মোগাদিশু সরকারের পাল্টা অভিযান তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ে, কিন্তু তারপরও সরকারি, বাণিজ্যিক ও সামরিক লক্ষ্যে উল্লেখ করার মতো শক্তিশালী হামলা চালানো সক্ষমতা আছে গোষ্ঠীটির।