নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে এবার কর্মক্ষেত্রে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ, কিন্তু ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার মতোই কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার চিত্র একই রকম।
আজ সকাল থেকে হাজার হাজার মনুষ বাস, থ্রি হুইলার প্রাইভেট যানবাহন এমনকি ট্রাক, মালবাহী গাড়ীতে করে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সকালে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ যে যেমন পাড়ছে, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্স , প্রাইভেটকার মটর সইকেলে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় সকল ভীড় সড়ক পথে এস পৌছেছে।স্বাভাবিক সময়ে বরিশাল থেকে মাওয়া ফেরীঘাটে ২২০ টাকা ভাড়া হলেও তা নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকায়। প্রাইভেট গাড়ীতেও যে যেমন ডারে সেই ভাড়ায় মাওয়াতে যাচ্ছে। মটর সাইকেলেও ২ জনকে নিয়ে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।
বরিশাল বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান এতাদিন গাড়ী বন্ধ ছিল, তা ছাড়াও আসার পথে খালি আসতে হবে সে জন্যে ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে। তবে ২/১ দিনের মধ্যেএটা কমে আসবে।
গার্মেন্টস কর্মী সালমা বেগম ঈদে নিজ শ্বশুরবাড়ী বাকেরগঞ্জে গিয়েছিলেন। পথে ঘাটে তীব্র বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলেন। সে কারনে তিনি জানান, ঈদের ছুটি শেষ হবার সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রে রওনা দিচ্ছেন। তিনি জানান ঢাকা থেকে বরিশাল এসছেন ভেঙ্গে ভেঙ্গে। এখন যাচ্ছেনও ভেঙ্গে ভেঙ্গে। তবে মাওয়া পর্যন্ত গেলে ও ফেরীতে উঠতে পারলে আর চিন্তা নাই কলে তিনি জানান।
ঈদে বাড়ি এসছিলেন বেসরকারী চাকুরী জীবী আসলাম। তিনি জানান কষ্ট হলেও বাড়িতে সবাইকে নিয়ে ঈদ করছেন এটাই অননন্দের।
তিনি সকল গাড়ী ছাড়ার আহবান জানান।
বরিশাল বাসমালিক সমিতির সদস্য বাবলু জানান, এবার ঈদে কয়েক হাজার পরিবহন শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। তাদের কথা চিন্তা করে দূর পাল্লারর বাস চলচল শুরু করা উচিত।